সম্ভব আবার অসম্ভব! এটা সম্পূর্ণ আপনার হাতেই। পেটের ভুঁড়ি কমানোর নিয়মগুলো একটু মেনে চললেই দেখবেন আপনার ভুঁড়িকমে যাচ্ছে। পেট ও কোমর সরু রাখার জন্য কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। যা অনেকেই মানেন না। যেমনঃ
অনেকে স্বাভাবিকভাবেই জল কম খান। আবার অনেকের অভ্যেস থাকে জল তেষ্টা পেলে কোল্ড ড্রিংক, কিংবা কফি খেয়ে তেষ্টা মেটানো। এইভাবে শরীরে যে জলাভাব ঘটে তার পরিণামে শরীরের বিভিন্ন ট্যিসু তাদের অভ্যন্তরস্থ জলীয় উপাদান নিজেদের মধ্যে সঞ্চিত করে রাখে। তার ফলে কোষগুলি ফুলে য়ায় আয়তনে, এবং পেটকেও ফোলা লাগে। কাজেই পরিমাণমতো জল খান।
খাওয়ার সময় খাবার ঠিকমতো না চিবিয়ে গিলে নিলে তা হজম হতে সময় লাগে, পরিপাক প্রক্রিয়াও মন্থর হয়ে আসে। পরিণামে পেট ফুলে যায়। অর্থাৎ খাবার খাওয়ার সময়ে ভাল করে চিবিয়ে তবেই তা গিলুন। সাধারণভাবে ডাক্তাররা মনে করেন, খাবার মুখে দিয়ে ২০ বার চিবনোর পরে তা গলায় চালান করাই স্বাস্থ্যসম্মত।
যাঁরা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তাঁদের পেটেও গ্যাস উৎপাদিত হয়, এবং তা পেটেই আবদ্ধ হয়ে থাকে। যার ফলে পেট ক্রমশ ফুলতে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রচুর ফাইবার যুক্ত খাবার খান, দৈনিক কিছু হালকা এক্সারসাইজ করুন।
কোনো রকম এক্সারসাইজ না করে অনেকক্ষণ ধরে একই জায়গায় বসে থাকার অভ্যেস ভুঁড়ির অন্যতম কারণ। আবার শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি দরকার, তার চেয়ে বেশি ক্যালরি ইনটেক করলে এবং তার ক্ষয় না হলে পেটের চারপাশেই জমা হয় মেদ।
যা খাবেনঃ
- সকালে ফল খেতে পারেন। সন্ধ্যায় খাবেন টকজাতীয় ফল।
- গ্রিন টি বা মাচা টি বেশ কার্যকর।
- খাসি অথবা গরুর মাংস তো খুবই কম খাবেন। পারলে কাঁকড়া, চিংড়ির মাথা, ডিমের কুসুমও বাদ দিতে হবে।
- বেশি ভাত খাওয়ার বদলে রুটি বা ব্রেড জাতীয় কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেটও খাওয়া যায়। ওট্স, ডালিয়া দিয়ে প্রাতরাশ করতে পারেন।
- রাশিয়ান টুইস্ট, রোল আউট জাতীয় এক্সারসাইজ করলে পেটের পেশি অনেক টানটান হয়। তবে বলের সাহায্যে ভুঁড়ি কমাতে গেলে প্রশিক্ষিত ট্রেনারের সাহায্য নেওয়া প্রয়োজন।
- মাসে এক দিন উপবাস করতে পারেন। এতে শরীরের নানা প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়।
Post a Comment