কোন ধরনের ছেলেরা প্রেম করতে পারে না?

এক বাক্যে বলতে গেলে: বুদ্ধিমান ছেলেরা

এবার ব্যাখ্যায় আসি। নিচে বুদ্ধিমান ছেলেদের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরবো আর প্রমাণ করবো যে বুদ্ধিমান ছেলেদের জন্য প্রেম করা কঠিন এবং ক্ষেত্রবিশেষে অসম্ভব।

তারা তাদের সেল্ফএস্টিম নিয়ে খুব সচেতন

সাধারণত উপমহাদেশে প্রেমের প্রস্তাব ছেলেরাই করে। তাই মেয়েরা একরকম ধরেই নিয়েছে প্রেমের প্রস্তাব দেয়া ছেলেদের কাজ। এখন প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ঝুঁকি আছে। কারণ প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে তো মুশকিল। তাই তারা এসব ঝামেলায় যেতে চায়না।

তারা ক্যারিয়ারকে সবার আগে রাখে

নিঃসন্দেহে মনের মত একজন জীবনসঙ্গী পাওয়া সবার কামনা। কিন্তু কিছু কিছু পাগলাটে ছেলে পেলে আছে, যাদের ধ্যান ধারণাই হচ্ছে তাদের ক্যারিয়ার এবং ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ। তাদের জীবনের লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে তারা কোনো স্যাক্রিফাইস করতে রাজি নয়।

তারা কম কথা বলে এবং খুব অসামাজিক হয়

যদিও এ পয়েন্ট টি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, তবে বেশিরভাগ জিনিয়াস খুবই অমিশুক ছিলেন। যেমন: আলবার্ট আইনস্টাইন, জন ন্যাশ, এলান টিউরিং, নিকোলা টেসলা প্রমুখ।

এরা বেশিরভাগ সময় একা কাটাতে পছন্দ করে

এধরনের ছেলেরা বেশিরভাগ সময় একা সময় কাটায় এবং মহাবিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে, অথবা বই পড়ে বা নিজের ভবিষ্যৎ প্রজেক্টের উপর কাজ করে। বেশি মানুষের মধ্যে এরা অস্বস্তি বোধ করে।

এরা নিজস্ব প্যাশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে

প্যাশন বিভিন্ন রকমের হতে পারে। যেমন: লেখালেখি, আবিষ্কার বা গিটার। সত্যি বলতে এমন প্যাশনেট মানুষগুলোর দুনিয়ার অন্য কিছু নিয়ে বিশেষ হুশ থাকেনা।

এরা খুব ভাবুক প্রকৃতির হয়

প্রিয়তমা যখন সামনের ঈদ বা পূজোয় কি পরবে তা নিয়ে ঘ্যানরঘ্যানর করছে, বাবু তখন কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্সে ডুবে আছে। একটু পর যখন প্রিয়তমা শুধায়, "ভ্যাবলার মতে চেয়ে আছো কেন? আদৌ কি কিছু কানে যাচ্ছে?" বাবু বলে, "অ্যা!"। আসলে সে এতক্ষণ কিছুই শুনেনি। তার মন তো তখন শ্রোডিঞ্জারের বিড়ালের বাক্সে।

এরা খুব সন্দেহপ্রবন হয়

বুদ্ধিমান মানুষ সন্দেহপ্রবন হবে এটাই স্বাভাবিক। তারা প্রকৃতির সব কিছু নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে, প্রশ্ন তোলে। এরা অন্য কারো কথা বিশ্বাস করে না, নিজে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলে তবেই বিশ্বাস করে। এরা সব সূক্ষ্ম ব্যাপারকে নিজের অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নিচে রেখে পরীক্ষণ করে। আর যে জিনিসটা তারা একবার বিশ্বাস করে অনেকটা কচ্ছপের কামড়ের মত বলা যায়। কিন্তু প্রেমিকার কি এত ধৈর্য্য আছে এই পাগলামি সহ্য করার ?!

উপসংহার

এধরনের ছেলে গুলোর হয়তো গার্লফ্রেন্ড থাকেনা। এরা হয়তো বোরিং হয়। কিন্তু এরাই জীবনের আসল মজা নেয়। সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করার থেকে আনন্দের কিছু আছে বলে আমার জানা নেই। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল, সময়কে কাজে লাগায় বলে এরা জীবনে সফল হয়। সফল বলতে কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর কথা বলছি না। তাদের আসল সাফল্য মানুষের জন্য পৃথিবীকে আরও একটু সুন্দর করে তোলা। এমন মানুষগুলোর কথা বললে আমার মাথায় যার নাম আসে:

মার্ক জাকারবার্গ, সিইও, ফেসবুক

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post