মহিলাদের জন্য আপনার সেরা পরামর্শটি কী? ক্যামস্ক্যাম থেকে সাবধান থাকুন।

চেঞ্জিং রুমে ঢোকার আগে, কোথাও কোনও লুকানো ক্যামেরা আছে কিনা তা একবার পরীক্ষা করে দেখে নিন। আপনার কয়েকটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তই আপনার গোপনীয়তা সুরক্ষিত করতে পারে। আপনারা হামেশাই শুনে থাকবেন কীরকম করে কিছু ঘৃণ্য মানসিকতার লোকেরা উঁকি ঝুঁকি মেরে মেয়েদের গোপনীয়তা নষ্ট করে।

তাই কেউ আপনাকে অন্যায়ভাবে লক্ষ করছে কিনা তা কীভাবে পরীক্ষা করবেন?

চিত্র সূত্র : গুগল

  • প্রথমেই আপনি যখন কোনও চেঞ্জিং রুমে প্রবেশ করবেন তখন প্রথমে আপনার সামনের আয়নাটি পরীক্ষা করে দেখুন। আয়ানাটা আপনার আঙ্গুল দিয়ে স্পর্শ করুন, যদি দেখেন আয়নায় আপনার আঙুল এবং আপনার আঙুলের প্রতিছবির মধ্যে খুব কম ফাঁক আছে তাহলে ধরে নিতে পারেন এই আয়নাটি একদম ঠিক আছে ভয়ের কিছু নেই।
  • কিন্তু যদি আপনার আঙুল এবং আয়নায় আপনার আঙ্গুলের প্রতিচ্ছবির মধ্যে কোনও ফাঁক না থাকে, তাহলে সাবধান এটি দ্বিমুখী কাঁচ, এর অর্থ কেউ আপনাকে কাচের ওপার দিয়ে দেখতে পারে।
  • এবার যেটি করতে হবে সেটি হল আপনার মোবাইলের নেটওয়ার্ক যথেষ্ট ভালো রয়েছে কিনা, সে বিষয় নিশ্চিত হওয়া, কারণ ওয়্যারলেস ক্যামেরা তার আশপাশের অন্য নেটওয়ার্কগুলিকে ব্লক করে রাখে। আপনি শুধু একটি কল করেই এটি পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
  • ঘরের লাইটগুলি একবার স্যুইচ অফ্ করে দেখে নিন ঘরের কোথাও এলইডি আলো জ্বলছে কিনা, যদি জ্বলতে দেখেন তাহলে নিশ্চিত থাকতে পারেন ওই এলইডি টা অন্য কিছুর নয় বরং কোনও লুকানো ক্যামেরার।
  • এছাড়াও ঘরের কোণগুলো, আয়নার আশপাশে, বাল্ব এর নীচের অংশটা, বোতামগুলি, স্ক্রুগুলি ইত্যাদির দিকে তাকিয়ে দেখুন প্রত্যেকটি সন্দেহজনক জায়গাগুলো ভালো করে দেখুন।

চিত্র সূত্র : গুগল

লুকানো ক্যামেরা যে কোনও জায়গায় থাকতে পারে। তাই ভবিষ্যতে ট্রায়াল রুম বা পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করতে গেলে সচেতন থাকুন।


নিজের আত্মরক্ষার জন্য কিছু কৌশল শিখুন

মনে রাখবেন আপনার চারপাশে সবসময় আপনার বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের আপনি কিন্তু পাবেন না। তাই নিজেই একটু স্বাবলম্বী হোন। কয়েকটি পদক্ষেপ এবং কৌশল আপনাকে রাস্তা, পার্ক, অফিস বা অন্য কোথাও একা থাকাকালীন আরও দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে।

আপনি যদি ফাঁকা জায়গায় কাউকে দেখেন আপনাকে বদ মতলবে পিছু বা অনুসরণ করছে তাহলে আতঙ্কিত হবেন না, নিজের সুরক্ষার জন্য এই পদক্ষেপগুলি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, না পারলে যতটা দ্রুত সম্ভব কোনও নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

  • যদি কেউ আপনাকে পিছন দিক থেকে ধরার চেষ্টা করে তবে এই কৌশলটি ব্যবহার করুন:

চিত্র সূত্র : পিন্টারেস্ট

মনে রাখবেন এটি যথেষ্ট শক্তি দিয়ে করতে হবে, এর পরে, আপনি আক্রমণকারীটিকে আরও আঘাত করতে পারেন বা পালাতে পারেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী যেটি ভালো মনে হবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।

  • যদি কেউ সামনের দিক থেকে আপনার শরীর ছুঁতে চেষ্টা করে তবে এই কৌশলটি ব্যবহার করুন:

চিত্র সূত্র : পিন্টারেস্ট

তাকে যদি দুই পায়ের মাঝে আঘাত করতে পারেন তাহলে তা আপনাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে। তার দুটি পায়ের মধ্যে একটি শক্তিশালী আঘাত তাকে কয়েক ঘন্টা অবশ করে দিতে পারে।

  • জরুরী পরিস্থিতিতে, আপনি আপনার নেইল কাটারটিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন বা আপনি নিজের স্কুটি বা গাড়ির চাবি গুলিকে হাতে নিয়ে ঘুষি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন।

চিত্র সূত্র : পিন্টারেস্ট

দৃঢ় থাকুন, নিরাপদে থাকুন।


আপনার থেকে যারা বয়সে ছোট তাদের সুপরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।

আপনার যদি কোনও ছোট বোন বা ভাই থাকে তাহলে আপনি তাদেরকে খারাপ স্পর্শ এবং ভাল স্পর্শের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে বলতে পারেন। আপনি ভাল এবং খারাপ মানুষের মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে বলতে পারেন। দরকার মত আপনি তাদের কোথায় যাওয়া যেতে পারে এবং কোথায় যাওয়া ঠিক হবে না সেই বিষয় পরামর্শ দিতে পারেন। সাধারণত, বাবা মায়েরা (বিশেষত আমাদের দেশে) এই প্রাথমিক জিনিসগুলি সন্তানকে শেখাতে দ্বিধা বোধ করেন। কিন্তু আমরা তো সচেতন নাগরিক, আমরা তাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারি।

Post a Comment

Post a Comment (0)

Previous Post Next Post